Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন (জুন ২০২২ পর্যন্ত)                জনসংখ্যার ঘনত্ব ১১৬৩ (প্রতি বর্গকিলোমিটারে, ২০২২)                জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার .৩৫ (২০২২)                খানার আকার . জন (২০২২)                লিঙ্গানুপাত (পুরুষ/নারী*১০০৯৭.৫ (২০২২)                স্থুল জন্মহার ১৯.৩ (২০২২)                স্থুল মৃত্যুহার . (২০২২)                প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭২. বছর (২০২২)                সাক্ষরতার হার ( বছর  তদূর্ধ্ব৭৬.% (২০২২)                স্থুল প্রতিবন্ধিতার হার ২৫. (প্রতি হাজারে, ২০২২)                দারিদ্র্যের হার ১৮.%                অতি দারিদ্র্যের হার .%                বেকার জনগোষ্ঠী .৬৩ মিলিয়ন                বেকারত্বের হার .%                মূল্যস্ফীতি .৬৩% (সেপ্টেম্বর ২০২৩)                মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ( বছর  তদূর্ধ্ব৫৯.% (২০২২)                ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ( বছর  তদূর্ধ্ব৪১.% (২০২২)                মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৫৬ (প্রতি লাখ জীবিত জন্মের বিপরীতে২০২২)                জিডিপি ৩৯,৭৬৫ বিলিয়ন টাকা (P)                জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার .২৫% (P)                জিএনআই ৪১,২৪১ বিলিয়ন টাকা (P)                মাথাপিছু আয় ,৭৬৫ মার্কিন ডলার                আমদানি ,০২৩ বিলিয়ন টাকা                রপ্তানি ,৭৬৪ বিলিয়ন টাকা                রেমিট্যান্স ১৭৩.২৭ বিলিয়ন টাকা                সূত্র : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)

রামগঞ্জ উপজেলার জনসংখ্যা ৩ লাখ ১৩ হাজার ২০৯ জন (প্রাথমিক, জুন ২০২২ পর্যন্ত)                লিঙ্গানুপাত (পুরুষ/নারী*১০০৮১.১ (প্রাথমিক, ২০২২)                আয়তন ১৬৯.৩১ বর্গকিলোমিটার (২০২২)                জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৮৫০ (প্রতি বর্গকিলোমিটারে, ২০২২)                খানার সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩০৮টি (প্রাথমিক, জুন ২০২২ পর্যন্ত)                খানার আকার .১৫ জন (২০২২)                সাক্ষরতার হার ( বছর  তদূর্ধ্ব৮২.% (২০২২)                জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার .৮৪% (প্রাথমিক, ২০২২)                গ্রামের সংখ্যা ১৪৫ (২০২২)                মৌজার সংখ্যা ১৩২ (২০২২)                ইউনিয়নের সংখ্যা ১০ (২০২২)                পৌরসভার সংখ্যা ০১ (০৯টি ওয়ার্ড ও ১৮টি মহল্লা সম্বলিত, ২০২২)                                সূত্র : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)                 


জনাব মীর আন্‌-নাজমুস সাকিব, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা-এর বিস্তারিত পরিচিতি


মীর আন্‌-নাজমুস সাকিব 

পরিসংখ্যান কর্মকর্তা


মোবাইল # +৮৮ ০১৯৬৩ ৮০৪২২৪

ফোন (অফিস) # +৮৮ ০১৯৬৩ ৮০৪২২৪

ই-মেইল : mirasakib@gmail.com, usoramganj@gmail.com

বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের তারিখ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রি. (পূর্বাহ্ণ)


জনাব মীর আন্‌-নাজমুস সাকিব বর্তমান কর্মস্থলের যোগদানের পূর্বে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া এবং ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।


তিনি ২০১৮ সালের ০৯ সেপ্টেম্বর পূর্বাহ্ণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার গেজেটেড পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। তিনি ২০১৮ সালে মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং ২০২১ সালে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ), বগুড়া হতে মর্যাদাপূর্ণ মহাপরিচালক পদকসহ (ডিজি’স অ্যাওয়ার্ড) বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। ঝালকাঠি সদরে কর্মকালীন দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি তিনি সাফল্যের সাথে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। তাঁর সুনাম, সততা ও দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ ঝালকাঠি সদরের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. আতাহার মিয়া তাঁকে প্রশংসাসূচক ডিও লেটার প্রদান করেন। ঝালকাঠিতে থাকাকালীন অল্পসময়ের মধ্যেই ঝালকাঠিবাসীর মনের মণিকোঠায় স্থান করে নেন তিনি। এরপর তিনি বদলিভিত্তিক পদায়ন লাভ করেন চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলাতে। সেখানে প্রায় সাড়ে চার বছরের কর্মকালে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি তিনি সাফল্যের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (রিটার্নিং অফিসার), পৌরসভা নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, স্কুল/মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ও বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। করোনা মহামারি চলাকালীন ত্রাণ ও রোগী পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, এমনকি নিজেও আক্রান্ত হন একাধিকবার। তৈরি করেন স্বল্পমূল্যে ফেসশিল্ড ও অনলাইনে কৃষি রিপোর্ট সফটওয়্যার। ২০২২ সালে দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনাতে পালন করেন জেলা সমন্বয়কারীর গুরুদায়িত্ব। এছাড়াও বিভিন্ন শুমারি ও জরিপে সাফল্যের সাথে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে তিনি ‘ইনোভেশন পুরস্কার’ এবং ২০২৩ সালে ‘স্মার্ট পটিয়া বেস্ট আইডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন। তিনি সাফল্যের সাথে পালন করেছেন দেশের প্রথম স্মার্ট আশ্রয়ণ ‘হাইদগাঁও : শেখ হাসিনা স্মার্ট ভিলেজ’ প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা এবং ঐতিহ্যবাহী পটিয়া অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের তৎকালীন মাননীয় হুইপ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী এমপি, পটিয়ার  প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ (জনাব হাবিবুল হাসান, জনাব ফারহানা জাহান উপমা ও জনাব ফয়সাল আহমেদ) ছিলেন তাঁর কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সন্তুষ্ট। প্রযুক্তিনির্ভর একজন দক্ষ প্রশিক্ষক হিসেবে তাঁর প্রচুর সুনাম রয়েছে, যেমনটা রয়েছে অনুষ্ঠান সঞ্চালক, সংগঠক, গবেষক, আইন-বিধি বিশেষজ্ঞ, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে। পটিয়াবাসীর কাছে তিনি পরিচিত একজন জনদরদী, সৎ, যোগ্য, নিষ্ঠাবান, স্মার্ট ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রোভাইডার কর্মকর্তা হিসেবে।


জনাব সাকিবের জন্ম ১৯৯১ সালে চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। বেড়ে ওঠা ও স্থায়ী হওয়া ফেনীতে। তাঁর বাবা প্রফেসর মীর গোলাম হায়দার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ফেনী-এর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (বিসিএস-সাধারণ শিক্ষা) ও মা জনাব ইসমত পারভীন রুনু একজন সংগঠক, সংস্কৃতিকর্মী ও লেখিকা। তাঁর স্ত্রী জনাব পারিসা সানজানা হিয়া ফেনী ইউনিভার্সিটি থেকে কৃতিত্বের সাথে ডিসটিঙ্কশনসহ এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তাঁর একমাত্র কন্যা সাওয়ালিহা সাফানা ইমশা। তিনি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০০৬ সালে ঐতিহ্যবাহী ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৮ সালে ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। দুটো পরীক্ষাতেই তিনি কৃতিত্বের সাথে জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে উচ্চ সিজিপিএসহ ২০১২ সালে চার বছর মেয়াদি বিএসসি (অনার্স) এবং ২০১৪ সালে ডিসটিঙ্কশনসহ দেড় বছর মেয়াদি এমএস (থিসিস) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে এমফিল (ফেলো) হিসেবে গবেষণা করছেন। পুরো শিক্ষা জীবনে নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখে তিনি প্রাথমিক ও জুনিয়রসহ নানা পর্যায়ের বৃত্তি অর্জন করেন। সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিতে রয়েছে তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজনসহ সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন সংগঠনে। এর মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক ও প্রশিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাথে। জড়িত ছিলেন সাংবাদিকতা, কুইজ ও বিতর্ক চর্চার সাথেও। তিনি শাবিপ্রবি গণিত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি ও প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক; ডেল্টা ডিবেটার্স ফ্যাক্টরির আজীবন সদস্য, প্রাক্তন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা; সাস্টনিউজ টুয়েন্টি ডটকমের প্রাক্তন সম্পাদক; ফেনী গর্ভনমেন্ট পাইলট হাই স্কুল ডিবেটিং সোসাইটির প্রাক্তন মডারেটর, প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সদস্য; শাবিপ্রবি গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী ও আজীবন সদস্য; সাস্ট ক্লাব লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য; ফেনী ডিবেট ফোরামের উপদেষ্টা; প্রয়াস-এর প্রধান উপদেষ্টা; বিবিএস এসও-২০১৮ ব্যাচ কমিটির সাধারণ সম্পাদক; বিবিএস নন-ক্যাডার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির প্রচার সম্পাদক এবং বাংলাদেশ গণিত সমিতির আজীবন সদস্য। এছাড়াও তিনি কাজ করেছেন দেশ আমার ও ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্সসহ আরও অনেক সংগঠনে।


তিনি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া (বিজেম), ঢাকা থেকে এক বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ছয় মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন আইসিটি কোর্স সম্পন্ন করেন। উভয় কোর্সেই তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে যোগদানের পূর্বে তিনি ৩৪তম বিসিএস (নন-ক্যাডার) থেকে সহকারী শিক্ষক (গণিত) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত ছিলেন ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে কর্মরত থাকার সময়ে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষক ও সফল সংগঠক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে স্কুলটি ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতিসহ অর্জন করে প্রচুর পুরস্কার।


বিভিন্ন জাতীয়, অনলাইন ও আঞ্চলিক পত্রিকা এবং সাময়িকীতে ইতঃপূর্বে জনাব সাকিবের প্রচুর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি প্রবন্ধ লেখক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-তে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতার জন্য গল্প, প্রবন্ধ ও নাটক রচনা করে তিনি অর্জন করেছেন প্রচুর পুরস্কার ও স্বীকৃতি। ২০১৭ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘ঘাস প্রকাশন’ থেকে তাঁর প্রথম উপন্যাস গ্রন্থ ‘পৌনঃপুনিকতা’ এবং ২০১৮ সালের গ্রন্থমেলায় একই প্রকাশনী থেকে তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘কয়েকটি অণুগল্প’ প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘পায়রা প্রকাশ’ থেকে তাঁর আধা-গবেষণাধর্মী, তথ্যভিত্তিক গ্রন্থ ‘বাংলাদেশে যা কিছু জাতীয়’ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও ‘ষড়লিপির অষ্টকথন’ ও ‘আহত রক্তজবা-৩’ নামে তাঁর আরও দুটি যৌথ গ্রন্থ রয়েছে। স্বীকৃত আন্তর্জাতিক গবেষণাধর্মী জার্নালে তাঁর একাধিক প্রকাশনা রয়েছে। ২০২২ সালে তাঁর লেখা গল্প নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কার্টুন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ফেসটুনস অ্যানিমেশন’ নির্মাণ করে হরর অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘আশ্বিনের বর্ষণে’।